১৯ মে ২০২৪, ০৪:৫৬ অপরাহ্ন, ১০ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি, রবিবার, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
অনলাইন ডেস্ক
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলের দিকে একের পর এক রকেট হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস। এসব হামলায় এখন মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৫০ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও ১ হাজার ৪৫২ জন। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এর মধ্যে ১৮ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক এবং ২৬৭ জনের অবস্থা গুরুতর। খবর বিবিসি।
ইসরায়েলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানায়, আহতদের চাপ বেড়েছে দক্ষিণ ইসরায়েল ও গাজার সব হাসপাতালে। তাই এসব হাসপাতালের একটি বেডও ফাঁকা পাওয়া যাচ্ছে না।
আলাদা আরেক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছেন, গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ২৩২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১ হাজার ৬৯৭ জন।
এদিকে যুদ্ধের এই উত্তাপ এরই মধ্যে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ছড়িয়ে পড়েছে। অধিকৃত পশ্চিম তীরে তিন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
অবরুদ্ধ গাজা থেকে পশ্চিম তীরের দূরত্ব প্রায় একশ কিলোমিটার। গাজায় হামলা-পাল্টা হামলার খবরে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি দখলবাজদের হামলার মাত্রা বেড়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি।
রেড ক্রিসেন্টের এক মুখপাত্রের বরাতে আলজাজিরা জানিয়েছে, নাবলুস শহরের দক্ষিণে আকরাবার কাছে খিরবেত ইয়ানউন হামলায় চারজন আহত হয়েছে। সালফিটের পূর্বে ইয়াসুফে গোলাবারুদে ছয়জন আহত হয়েছে। এ ছাড়া এক ইসরায়েলি দখলদারের ছুরিকাঘাতে একজন আহত এবং টিয়ার গ্যাসের কারণে শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত কারণে ২৫ জন হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করেছে।
রেড ক্রিসেন্টের ওই মুখপাত্র আরও জানান, নাবলুসের দক্ষিণে কাসরায় এক ব্যক্তিকে গুলি করা হয়েছে। সেখানে এখনো হামলা চলছে। এ ছাড়া হুওয়ারায় একটি অ্যাম্বুলেন্স মেডিকেল টিমের ওপর আক্রমণ হয়েছে।
শনিবার সকালে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে একের পর এক রকেট হামলা শুরু করে হামাস। হামলার প্রথম ২০ মিনিটেই ৫ হাজার রকেট ছোড়ার কথা জানিয়েছে হামাস। এসব হামলায় ইসরায়েলের ভেতরে ১০০ জন নিহত হয়েছে।
হামাসের হামলার পরপরই গাজায় পাল্টা বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় প্রায় ২০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এ ছাড়া হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে। সময় যত গড়াচ্ছে ইসরায়েলি হামলার মাত্রা তত বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে আতঙ্কে সময় পার করছে সাধারণ ফিলিস্তিনিরা।